(হে লোকসকল!) তোমাদের মাঝে তোমাদের মধ্য থেকেই রাসূল আগমন করেছেন, তোমাদের কষ্ট যার নিকট অসহনীয়, যিনি তোমাদের (কল্যাণের) জন্য ব্যাকুল, যিনি মুমিনদের প্রতি অত্যন্ত দয়াপরবশ, পরম মমতাবান। তারপরও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে (হে নবী) আপনি বলে দিন, আমার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট। তিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। তার উপরই আমি ভরসা করি এবং তিনি মহান আরশের মালিক। -সূরা তাওবা (৯) : ১২৮, ১২৯
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের প্রতি অত্যন্ত দয়ার্দ্র ও স্নেহশীল ছিলেন। উম্মতের কল্যাণে তিনি সদা ব্যাকুল থাকতেন। উম্মত কীভাবে নাজাত ও মুক্তি লাভ করতে পারে এ ফিকিরে তিনি ছিলেন সদা বিভোর। সর্বোপরি এই উম্মতের উপর রয়েছে তাঁর অবারিত ইহসান-অনুগ্রহ, পার্থিব-অপার্থিব উভয় বিবেচনায়। তাই উম্মতের কর্তব্য হল, নবীজীর সেই ইহসানের দাবি রক্ষা করা।
উম্মতের উপর নবীজীর যে সীমাহীন ইহসান রয়েছে, এর অন্যতম দাবি হচ্ছে নবীজীর প্রতি দরূদ ও সালামের নাযরানা পেশ করা। এটা আমাদের উপর নবীজীর হক। নতুবা নবীজীর প্রতি দরূদ পেশ করার আমরা কে! যেখানে স্বয়ং আরহামুর রাহিমীন ও তাঁর ফিরিশতাগণ নবীজীর প্রতি দরূদ প্রেরণ করেন সেখানে আমাদের মতো নগণ্য উম্মতের দরূদের কোনোই প্রয়োজন নেই প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের। যেখানে খোদ রাব্বুল আলামীন স্বীয় হাবীবকে দান করেছেন মাকামে মাহমুদ-জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা, সেখানে তাঁর জরুরত নেই আমাদের কারো দরূদ ও সালামের।
কিন্তু তবুও কেন এই নির্দেশ- দরূদ ও সালাম পাঠ করতে হবে তাঁর প্রতি? হাঁ, এতীম এ উম্মতীকে নিজের স্বার্থেই নিবেদন করতে হবে আখেরী নবী হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরূদ ও সালাম- ভক্তি, শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সবটুকু দিয়ে। নবীজীর প্রতি আমাদের মহব্বত এমন কিছুই দাবি করে।