আল্লাহ তাআলার অপার মেহেরবানী, তিনি আমাদেরকে ১৪৪২ হিজরীর শাবান-রমযানে উপনীত করেছেনÑ আলহামদু লিল্লাহ। আল্লাহর দরবারে প্রত্যাশা রাখি পরিবার-পরিজন নিয়ে শান্তি-নিরাপত্তা ও আনন্দের সাথে ঈদুল ফিত্র উদ্যাপনের। এটা আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নিআমত। একজন মুমিনের ঈমানী কর্তব্য হল, আল্লাহর নিআমতের শুকরিয়া আদায় করা। এই শুকরিয়া আদায়ের একটি মাধ্যম এবং প্রকাশ হল, আল্লাহর দেওয়া নিআমত আল্লাহর হুকুম ও সন্তুষ্টি মোতাবেক ব্যবহার করা।
একটি বছর যায়, একটি বছর আসে। একটি রমযান যায়, একটি রমযান আসে। এভাবে জীবনও একদিন ফুরিয়ে যাবে, আমি উপনীত হবÑ জীবনের শেষ রমযানে; যে রমযানের পর আর রমযান আসবে না আমার জীবনে। কিন্তু আমি জানি নাÑ কোন্ রমযান আমার জীবনের শেষ রমযান। হয়ত এই রমযান…! আসুন, রমযানের যথাযথ কদর করি। সামনে দীর্ঘ বন্ধুর পথ, পাথেয় সংগ্রহের এখনই সময়!
সৌভাগ্যবান ব্যক্তি তো সে, যে প্রতিটি রমযানেরই যথাযথ কদর করল এবং আল্লাহর দেওয়া মূল্যবান মুহূর্তগুলো থেকে অধিকতর ঈমানী-রূহানী ও পরকালীন পাথেয় সংগ্রহ করল।
কীভাবে আমার রমযান, রমযান পূর্ববর্তী শাবান এবং রমযান পরবর্তী ঈদ ফলপ্রসূ হতে পারেÑ বক্ষমাণ প্রবন্ধে এব্যাপারে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করার চেষ্টা করা হবেÑ ইনশাআল্লাহ।
শাবান মাস : গুরুত্ব ও ফযীলত
মুমিনের কাঙ্খিত রমযান মাসের পূর্ববর্তী মাসের নাম শাবান। দ্বীনী বিবেচনায় এই মাসটি অত্যন্ত তাৎপর্য ধারণ করে। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গুরুত্বের সাথে এ মাসে আমল করতেন।